Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

পূর্ববতী মামলার রায়

আদেশনামা/হুকুমনামা

৮ নং সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদ

ডাকঃআড়ুয়া, কেশবপুর, যশোর।

বাদী

বিবাদী

নামঃআলতাপ মোল্যা গং,পিতা-কেরামত আলী,গ্রাম-সানতলা,ডাক-আড়ুয়া,উপজেলা-কেশবপুর,জেলা-যশোর।

নাম-বিষ্ণুপদ ধর,পিতা-জীতেন্দ্র নাথ ঢালী,গ্রাম-সানতলা,ডাক-আড়ুয়া,উপজেলা-কেশবপুর,জেলা-যশোর।

 

 

তারিখ

আদেশের বিবরন

স্বাক্ষর  (চেয়ারম্যান)

 

 

 

 

৩১-১০-২০১৭ইং

 

 

 

 

০৬-১১-২০১৭ইং

বিষয়ঃ জমি বিক্রির টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করে নিয়ে জমির দখল দিলেও জমি দলিল করে না দেওয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ।

 

 

১. অত্র অভিযোগটি ৩১/১০/২০১৭ইং তারিখে শুনানীর জন্য গৃহীত হয়। এবং আগামী ০৬/১১/২০১৭ইং তারিখ সকাল ১০.০০টায় দিন ধায্য করে পক্ষদ্বয়কে শুনানীর নিমিত্তে হাজির থাকার নোটিশ দানের জন্য বলা গেল।

 

 অদ্য ০৬/১১/২০১৭ইং তারিখ দিন ধায্য থাকায় পক্ষদ্বয় হাজির আছেন দেখা যায়।

বিবাদীকে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ পত্রটি পাঠ করে শুনানো হলো।

বিবাদী বিষ্ণু ধর এর বক্তব্যঃ আমার বাবা জীবিত থাকতে প্রায় ২০ বছর পূর্বে বাদী আলতাপ হোসেন মোল্যা ও তার অন্য ২ ভাই মিলে আমজাদ কাকা কে সাথে নিয়ে নালিশী ৮৪ শতক জমি তৎকালিন বিক্রয় মূল্য সর্বমোট ৪০,০০০/=(চল্লিশ হাজার)টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করে। বাদীগণ উক্ত ৮৪ শতক জমিতে ২০ বছর পূর্ব হতেই দখল করে আছেন। বর্তমানে উক্ত জমিতে বাদী পক্ষেরা মৎস্য ঘের চাষ করছে। মৎস্য চাষ ও ধান চাষ করে তাদের জীবন জীবিকা চলছে।বাবা জীবিত খাকতে উক্ত জমি রেজিষ্ট্রি করা হয় নাই। আমার আর দুই ভাই ভারতে থাকে। আমার ছেলের চাকুরীর জন্য টাকার প্রয়োজন হওয়ায় আমি উক্ত নালিশী ৮৪ শতক জমি অন্যত্র বিক্রয় করে দিয়েছি। আপনি যে, সিদ্ধান্ত দিবেন মেনে নেব।

 

 

সাক্ষীঃ আমজাদ হোসেন এর বক্তব্যঃ নালিশী ৮৪ শতক জমি ক্রয়ের জন্য আকবার মহতাপ ও আলতাপ বিবাদী বিষ্ণু ধর এর বাবার সাথে জমির দরদাম ঠিক করে আমাকে সাথে করে নিয়ে যায় তাদের বাড়ীতে টাকা দিতে। আমার হাত দিয়েই ৮৪ শতক জমি রেজেষ্ট্রি করে দিবে বলে ৪০,০০০/=(চল্লিশ হাজার)টাকা গ্রহন করে। ২০ বছর পূর্বে। তখন হতেই বাদী পক্ষ নালিশী জমিতে ভোগ দখল করে আছে ও বর্তমানে উক্ত জমিতে বাদী পক্ষের মৎস্য ঘের চাষ অব্যহত আছে।আমি যতদূর জানি তাদেরকে বার বার জমি রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার কথা বলা হলেও তারা নানান অজুহাত করে রেজেষ্ট্রি করে দেয় নাই।বর্তমানে বিবাদীর পিতার মৃত্যুর পর তারা কাউকে কিছু না বলে অন্যত্র জমি বিক্রয় করে দিয়েছে বলে শুনেছি।

 

 স্বাক্ষীঃ হরিপদ মন্ডল, পিং-মৃত চৈতান্য মন্ডল,গ্রাম-সানতলা, অত্র গ্রাম আদালতে হাজির হয়ে তার বক্তব্যে বলেন যে, আমি যখন মেম্বর ছিলাম ১৯৯৬ সালে  জিতেন ঢালী (মামা) বলে যে, আলতাপ,মহাতাপ,ও আকরাম কে বলে দেখ  জমিটা রেজেষ্ট্রি করে নেয় কিনা। পরের দিনই জমি রেজেষ্ট্রি করে নেওয়ার কথা হয়, কিন্তু আমজাদ খুড়ো  জমি রেজেষ্ট্রি না করে দেওয়ার জন্য বলে। ফলে রেজেষ্ট্রি হলো না। ২০ বছর পূর্বে হতে উক্ত নালিশী ৮৪ শতক জমি বাদীদের দখলে আছে।

 

মামলার বর্ণিত বক্তব্যঃ বিবাদীর বক্তব্য ও বাদী গণের স্বাক্ষ্য গ্রহন ও উপস্থিত ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বক্তব্য শুনলাম ও পর্যালোচনা করা হলো।

 

সিদ্ধান্তঃ বিবাদী বিষ্ণুপদ ঢালী পিং মৃত জীতেন্দ্র নাথ ঢালী, গ্রাম-সানতলা, স্বশরীরে হাজির হয়ে স্বেচ্ছায় বাদীদের অনুকূলে নালিশী ৮৪ শতক জমি জমা যাহা আছে তাহা সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ অন্তে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তদুপরী উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের স্বাক্ষ্য সহ স্থানীয় ইউপি মেম্বর মোঃ আলমগীর হোসেন ও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বক্তব্য দিয়েছেন অতএব বাদী পক্ষের আবেদন মঞ্জুর করা গেল। অতএব আর্দেশ হয় যে, বিবাদী বিষ্ণুপদ ঢালী আগামী ৩০ কর্ম দিবসের মধ্যে বাদী পক্ষকে তাদের দাবিকৃত জমি জমা যাহা আছে তাহা রেজেষ্ট্রি করে দিবেন।

 

 

 

 

স্বাক্ষর অস্পষ্ট

৩১/১০/২০১৭ইং

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

স্বাক্ষর অস্পষ্ট

০৬/১১/২০১৭ইং