প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র আওতায় হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন।
‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ স্লোগানে এই কর্মসূচির আওতায় দেশের ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবার ১০ টাকা কেজিতে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে।
প্রতি বছরের মার্চ ও এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর- এই পাঁচ মাস কর্মসূচির আওতায় চাল পাবে পরিবারগুলো।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস জানায়, কুড়িগ্রাম জেলায় মোট এক লাখ ২৫ হাজার ২৭৯টি পরিবার খাদ্যবান্ধব কার্ডের মাধ্যমে এই কর্মসূচির সুফল পাবে।
এরই মধ্যে চিলমারীর আট হাজার ২১টি দরিদ্র পরিবারকে এই কার্ড দেয়া হয়েছে। কুড়িগ্রাম সদরে ১৭ হাজার ৭২২টি, নাগেশ্বরীতে ২৪ হাজার ২০টি, ভুরুঙ্গামারীতে ১৩ হাজার ৯৮৫টি, ফুলবাড়ীতে ৯ হাজার ২৯৮টি, রাজারহাটে ১০ হাজার ৬০২টি, উলিপুরে ২৪ হাজার ২০৮টি, রৌমারীতে ১২ হাজার ৬৮৫টি ও রাজীবপুর উপজেলায় ৪ হাজার ৭৩৮টি কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চাল বিক্রির জন্য জেলায় ২৪৭ জন সম্ভাব্য ডিলারের মধ্যে ১২৬ জনকে ইতিমধ্যে নিযুক্ত করা হয়েছে।
এর ফলে সরকারকে প্রতি বছর দুই হাজার একশ’ কোটি টাকা ভর্তুতি দিতে হবে। প্রতি কেজি চাল ৩৭ টাকা দরে কিনে ১০ টাকা দরে হতদরিদ্রদের হাতে তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে প্রতি কেজি চালের ওপর ২৭ টাকা ভর্তুকি প্রদান করছে সরকার।
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারের খাদ্য কর্মসূচি- ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং বা ভিজিএফ কার্ড বাতিল করে ৫০ লাখ পরিবারকে পল্লী রেশনিং কার্ড দেয়ার কথা কয়েক মাস আগে জানিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। গত ২৭ অগাস্ট খাদ্যমন্ত্রী জানান, সেপ্টেম্বর থেকেই ১০ টাকায় চাল পাবেন দুস্থরা।
গত ১ সেপ্টেম্বর সীমান্ত ব্যাংকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পল্লী রেশনিং নিয়ে কথা বলেন। তিনি সেদিন বলেন, ‘হতদরিদ্র, পঙ্গু, প্রতিবন্ধীদের জন্য এই ব্যবস্থা চালু করব। এই রেশন কার্ড যাদের হাতে থাকবে, তারা মাত্র ১০ টাকায় চাল কিনতে পারবে।’
এই কর্মসূচি উদ্বোধন করতে সকাল পৌনে ১১টায় হেলিকপ্টারে চিলমারীতে পৌঁছান জাতির জনকের কন্যা। তার এ আগমন ঘিরে কুড়িগ্রামে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস